
এমন কিছু কাজ রয়েছে, যেগুলো আল্লাহর নৈকট্য অর্জনকে সহজ করে তোলে। অন্য কথায়, ব্যক্তিকে প্রভুর নৈকট্যের জন্য আস্তে আস্তে প্রস্তুত করে তোলে । এগুলোকে রবের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনের প্রথমিক প্রস্তুতিও বলা চলে। নিজের দৈনন্দিন রুটিনে এসব গুরুত্বপূর্ণ কাজ যুক্ত করে যথাযথভাবে চর্চা করলে ব্যক্তি নিজে থেকেই আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের জন্য প্রস্তুত হয়ে যায়। কাজগুলো হলো—
বিনয়াবনত সিজদা : সিজদা হলো সুমহান সত্তা ‘মহান’ আল্লাহর সামনে সর্বাধিক বিনীতভাবে নিজেকে সমর্পণ। গোটা সৃষ্টিজগৎ অনাদিকাল থেকে আল্লাহর সিজদায় অবনত। সিজদায় যখন লুটিয়ে পড়ি, তখন আমরা দেহের সবচেয়ে মর্যাদাবান ও সুউচ্চ অংশ ‘মস্তক’ ভূলুণ্ঠিত করে দিই। নিজেকে এর চেয়ে বেশি আর ছোটো করা যায় না। আমাদের অবস্থা তখন addr তথা চূড়ান্ত অবনমিত, আর রব তখন ১৬। তথা সর্বোচ্চ মহান ও মর্যাদাবান । তাইতো আমরা তাঁর সম্মান ও বড়োত্বের ঘোষণা দিয়ে বলে উঠি—
سُبْحَانَ رَبِّي الأعلى
‘অতি পবিত্র আমার রব, যিনি সুউচ্চ।’
নিজেকে ছোটো কিংবা তুচ্ছ হিসেবে উপস্থাপন করার জন্য এর চেয়ে উৎকৃষ্ট তরিকা আর হতে পারে না। এজন্যই সিজদাবনত এই দৃশ্য অবলোকন করতে আল্লাহ সবচেয়ে বেশি পছন্দ করেন, বান্দাকে কাছে টেনে নেন পরম মমতায়। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সিজদাবনত মস্তকে তাঁর নৈকট্য প্রার্থনার আহ্বান জানিয়েছেন পবিত্র কুরআনে—
وَاسْجُدُ وَاقْتَرِبْ
‘তুমি সিজদা করো এবং নৈকট্য অর্জন করো।’ (সূরা আলাক : ১৯)
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ
বলেছেন—
‘বান্দা আল্লাহর অধিক নিকটবর্তী হয়, যখন সে সিজদায় অবনত হয়। অতএব, তোমরা ওই অবস্থায় অধিক পরিমাণে দুআ করতে থাকো।’ (মুসলিম : ৪৮২)