Shopping Cart
৳ 0.00

No products in the cart.

আহ্বান: ড. মিজানুর রহমান আজহারি

ফলজাতীয় খাবার

রাসূল নানা সময়ে নানা ধরনের ফলজাতীয় খাবার গ্রহণ করতেন বলে জানা যায়। এর মধ্যে কিছু ছিল নিয়মিত খাবারের অন্তর্ভুক্ত, কিছু খুবই পছন্দনীয় এবং কিছু কিছু তিনি কদাচিৎ খেতেন। এর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হলো—

ক. খেজুর : বিশ্বনবি জীবনে সবচেয়ে বেশি যে খাবারটি খেয়েছেন,

তার নাম খেজুর। মরুময় আরবে খেজুর অন্যতম প্রধান খাদ্য। খেজুর সম্পর্কে রাসূল বলেন—

‘যে বাড়িতে খেজুর নেই, সে বাড়ির অধিবাসীরা অভুক্ত।’

(আবু দাউদ : ৩৮৩১)

খেজুর ছাড়া যেন আরবদের ক্ষুধাই নিবৃত হতো না। অন্যভাবে বলা যায়—যার বাড়িতে কিছুই থাকত না, তার বাড়িতেও অন্তত খেজুর থাকত। সুতরাং যার ঘরে খেজুর ছিল না, বুঝতে হতো—তার ঘরে কোনো খাবারই নেই ।

খেজুরের রয়েছে বহুমুখী পুষ্টি ও ঔষধিগুণ। এটি শরীরের ক্যালসিয়াম, আয়রন ও ভিটামিনের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি পানিশূন্যতা পূরণেও সহায়তা করে। বাড়তি চর্বি ও কোলেস্টরেল না থাকায় খেজুর খেলে বাড়তি ওজন হয় না। খেজুরে যেমন ক্ষুধা মেটে, তেমনই এর আঁটি চুষলে তৃষ্ণাও নিবারণ হয়। রাসূল সন্তান প্রসবের পর প্রসূতি মাকে খেজুর খাওয়ার পরামর্শ দিতেন এবং নবজাতকের মুখে তাহনিক বা খেজুরের থেতলানো টুকরো তুলে দিতেন।

খ. কিশমিশ : রাসূল ভেজা কিশমিশ পছন্দ করতেন এবং এটা তিনি নিয়মিত খেতেন । সাফিয়্যা বিনতে আতিয়্যা (রা.) বর্ণনা করেন— ‘আমি বনি আবদুল কায়েসের রমণীদের সাথে আয়িশা (রা.)-এর কাছে গমন করলাম। আমরা তাঁর কাছে খেজুর ও কিশমিশ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে তিনি বললেন—“আমি এক মুষ্টি খেজুর ও এক মুষ্টি কিশমিশ একটি পাত্রে ভিজিয়ে নরম করতাম। এরপর তা নবিজিকে খাওয়াতাম।”’ (আবু দাউদ : ৩৬৯৯)

গ. তরমুজ : রাসূল মরুভূমিতে উৎপন্ন তরমুজ খেতেন। আয়িশা (রা.)

বর্ণনা করেন— 

রাসূল তরমুজের সঙ্গে “রোতাব” (তাজা-পাকা খেজুর)

খেতেন।’ (বুখারি : ৫১৩৪, তিরমিজি : ১৮৪৪ )

ঘ. জয়তুন : জয়তুন একটি ঔষধিগুণসমৃদ্ধ ফল। এর নানান পুষ্টিগুণ ও উপকারিতা রয়েছে । রাসূল জয়তুন খেতেন এবং এর তেল ব্যবহারের পরামর্শ দিতেন। তিনি বলেন-

‘তোমরা জয়তুন খাও এবং জয়তুনের তেল গায়ে মাখো। কেননা,

এটি একটি মোবারক বৃক্ষ থেকে তৈরি।’ (ইবনে মাজাহ : ১০০৩)

Home Shop Cart Account