Shopping Cart
৳ 0.00

No products in the cart.

আহ্বান: ড. মিজানুর রহমান আজহারি

পরিমিত ঘুম (Rest & Relax )

সুস্থতার জন্য প্রয়োজন পর্যাপ্ত ঘুম। আধুনিক চিকিৎসাশাস্ত্র বলে—একজন মানুষের সুস্থতার জন্য অন্তত ৬-৮ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন। আর ঘুমের জন্য সর্বোত্তম সময় হলো রাত। কথায় আছে — Early to bed and early to rise. রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে ভোর ভোর জেগে ওঠাই অধিকতর উত্তম। এতে রাতভর যেমন আরামে ঘুমানো যায়, তেমনই ভোরের মনোরম পরিবেশেও নিশ্বাস নেওয়া যায় প্রাণভরে। শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার জন্য ভোরের স্নিগ্ধ বাতাস খুবই উপকারী ।

চিকিৎসাশাস্ত্রের এই মূলনীতি যেন রাসূল -এর লাইফস্টাইলেরই প্রতিফলন। রাসূল এশার সালাত শেষে ঘুমিয়ে পড়তেন। প্রয়োজন ছাড়া এশার পর কারও সাথে কথাবার্তা বা গল্পগুজব করতেন না । ঘুম থেকে জেগে উঠতেন রাতের শেষ অংশে। এরপর অজু করে তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করতেন। ফজর পর্যন্ত আবার একটু হালকা ঘুমাতেন (Snap ) । ফজরের আজান হলে মসজিদে গিয়ে জামাতের সাথে সালাতে নেতৃত্ব দিতেন। নামাজান্তে দীর্ঘ সময় ধরে তাসবিহ পড়তেন, কুশলাদি বিনিময় করতেন সাহাবিদের সাথে। অতঃপর ইশরাকের সালাত আদায় শেষে মসজিদ থেকে বের হয়ে মদিনার রাস্তায় হাঁটতেন। সবশেষে ঘরে ফিরে স্ত্রীদের সময় দিতেন ৷

ঘুমানোর ক্ষেত্রে রাসূল আল্লাহ তায়ালার এই নির্দেশনার অনুসরণ

করতেন—

وَجَعَلْنَا نَوْمَكُمْ سُبَاتًا – وَجَعَلْنَا الَّيْلَ لِبَاسًا – وَجَعَلْنَا النَّهَارَ

‘আমি তোমাদের বিশ্রামের জন্য নিদ্রা দিয়েছি। তোমাদের জন্য রাত্রিকে করেছি আবরণস্বরূপ আর দিনকে করেছি তোমাদের জীবিকা আহরণের সময়।’ (সূরা নাবা : ৯-১১)

প্রিয়নবি মুহাম্মাদ দেরি করে ঘুমানো অপছন্দ করতেন। তিনি কখনোই ফজরের পর ঘুমাতেন না; বরং এই সময়টা ব্যয় করতেন কুরআন তিলাওয়াত, জিকির-আজকার ও ব্যক্তিগত কাজে। সাহাবিদের ভোরবেলায় কাজ শুরু করতে উৎসাহ দিতেন সব সময়। উৎসাহের অংশ হিসেবে তিনি দুআ করেছেন—

‘হে আল্লাহ, আমার উম্মাহর জন্য দিনের শুরুকে বরকতময় করুন।’ (আবু দাউদ : ২৬০৬)

রাসূল কোনো যুদ্ধাভিযানে বাহিনী পাঠালে সাধারণত দিনের শুরুতেই পাঠাতেন। এই সময় তিনি বিভিন্ন সাহাবির খোঁজখবর নিতেন, তাঁদের দ্বীনের শিক্ষা দিতেন, কারও প্রশ্ন থাকলে উত্তর দিতেন এবং লোকজনের স্বপ্নের তাবির বা ব্যাখ্যা করতেন ।

আধুনিক বিজ্ঞান বলে—কাজ করার সর্বোত্তম সময় হলো ভোরবেলা; বিশেষত পড়াশোনার জন্য। এই সময় মানুষের মস্তিষ্ক অত্যন্ত সতেজ থাকে এবং মানসিক চাপ কাউকে ঘিরে ধরে না; মনোযোগ থাকে একদিকে নিবদ্ধ। ফলে যা-ই পড়া হোক না কেন, স্মৃতিতে গেঁথে যায় সহজেই। সুতরাং ভোরবেলা কোনো কাজ করা হলে তা অন্য সময়ের তুলনায় দ্রুত সম্পন্ন হয় ।

Home Shop Cart Account