Shopping Cart
৳ 0.00

No products in the cart.

আহ্বান: ড. মিজানুর রহমান আজহারি

মানসিক ক্রিয়া (Means of Mental Peace)

সুস্থতার জন্য শারীরিক ক্রিয়া যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই মানসিক ক্রিয়াও অত্যন্ত জরুরি। মূলত সুস্থতা বলতে শরীর-মন উভয়ের সুস্থতাকেই বোঝায়। অতিরিক্ত বিষণ্ণতা ও দুশ্চিন্তা মনে বাড়তি চাপ তৈরি করে। ফলে শরীরে বাসা বাঁধে নানাবিধ রোগব্যাধি। যেমন : মারাত্মক মাথাব্যথা, হার্টের সমস্যা ইত্যাদি। তাই সুস্থতার জন্য দুশ্চিন্তামুক্ত ও প্রফুল্ল থাকা, মনকে সর্বদা ইতিবাচক ভাবনায় নিয়োজিত রাখার গুরুত্ব অপরিসীম। এ ছাড়া প্রতিদিন কিছু সময় নিজেকে নির্দিষ্ট ধ্যানে মগ্ন রাখাও জরুরি। এগুলো অতিরিক্ত চাপ কমিয়ে মনকে রাখে সতেজ ও চাপমুক্ত ।

রাসূল * সর্বদা হাস্যোজ্জ্বল মেজাজে থাকতেন, মিষ্টি হেসে কথা বলতেন সবার সাথে। কারও সাথে দেখা হওয়ামাত্রই চারিত্রিক মুগ্ধতার গুণে কাছে টেনে নিতেন। খুব সহজেই মানুষকে আপন করে নেওয়ার এক সম্মোহনী ক্ষমতা ছিল তাঁর।

রাসূল মানসিক শক্তিতে ছিলেন পাহাড়ের মতো অটল। হতাশা- অনিশ্চয়তা তাঁকে আক্রান্ত করতে পারত না কখনোই; বরং তাঁর সাথে কথা বলে মনকে প্রশান্ত করত সবাই। তাঁর কাছেই মানুষ দুঃখ-বেদনার অনল নিবারণ করত, হতাশা ভুলে গিয়ে উজ্জীবিত হতো নতুন স্বপ্নের উদ্দীপনায় নবিজির এই মানসিক সুস্থতা ও শক্তির পেছনে যেসব কর্ম প্রভাবক হিসেবে কাজ করেছে, সেগুলো হলো—

সালাত : সালাত হলো মনকে দুনিয়ার সমস্ত ব্যস্ততা থেকে মুক্ত করে আল্লাহর ধ্যানে মগ্ন রাখার ঐশী পন্থা, আল্লাহর সাথে কথোপকথনের আনুষ্ঠানিক আয়োজন। সালাত আদায়কারী বিশ্বাস করেন— আমি আল্লাহর সামনে দাঁড়িয়ে আছি এবং আল্লাহ আমাকে দেখছেন। এই ভাবনা তার মনকে তৎক্ষণাৎ যাবতীয় দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত করে, হৃদয়ে সঞ্চার করে ইলাহি দিদারের সম্ভ্রান্ত অনুভূতি ।

সালাত আদায়কারী সালাতে কিরাত পড়ার সময় ভাবেন— আমি আল্লাহর বাণী তিলাওয়াত করছি এবং তাঁর কাছেই প্রার্থনা করছি। আর পরম করুণাময় রব আমার কথা শুনছেন এবং জবাব দিচ্ছেন। শুধু এই ভাবনাই মন থেকে যাবতীয় অনিশ্চয়তা, হতাশা ও একাকিত্ব দূর করে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। মুমিন তখন অনুভব করে—মহান মালিক আমার আরজি শুনেছেন। সুতরাং আর চিন্তা কীসের?

নামাজ মুমিনের জন্য অপরিহার্য ইবাদত। দিনে পাঁচবার সালাত আদায় করা প্রত্যেক মুমিনের জন্য ফরজ। রাসূল এই পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের বাইরেও অতিরিক্ত নফল সালাত আদায় করতেন, তাহাজ্জুদে রত হতেন রাতের শেষ ভাগে। দীর্ঘক্ষণ ধরে সিজদায় পড়ে থাকতেন। মন খুলে কথা বলতেন রবের সাথে। ফলে তিনি মানসিক দিক থেকে থাকতেন অবিচল, প্রশান্ত ও প্রফুল্ল ।

দুআ ও জিকির : দুআ ও জিকির মনকে আল্লাহর স্মরণে ব্যস্ত রাখে। ফলে মন থাকে নির্ভার-নিশ্চিন্ত। আল্লাহ তায়ালা বলেন-

الَّذِينَ آمَنُوا وَتَطْمَئِنُّ قُلُوبُهُمْ بِذِكْرِ اللهِ أَلَا بِذِكْرِ اللهِ تَطْمَئِنُ

রাসূল ‘যারা বিশ্বাস স্থাপন করে, তাদের অন্তর আল্লাহর জিকির দ্বারা শান্তি লাভ করে। জেনে রাখো! আল্লাহর জিকির দ্বারা অন্তরে স্থিরতা ও শান্তি আসে।’ (সূরা রা’দ : ২৮)

সর্বক্ষণ দুআ ও জিকিরে রত থাকতেন। ফলে তাঁর মন ও মননে সর্বদা প্রবাহিত হতো প্রশান্তির সুবাতাস। এই সুবাতাস বয়ে আনত চিন্তার পরিশুদ্ধতা। কখনো দুঃখ-কষ্ট দ্বারা সাময়িক আক্রান্ত হলে সাথে সাথেই তিনি সালাত, দুআ ও জিকিরে মগ্ন হতেন। মন থেকে অনুভব করতেন— এক মহাশক্তিধর সত্তার সাথে আমি সংযুক্ত। তিনি আমার সার্বক্ষণিক অবস্থান, পরিস্থিতি এবং প্রয়োজন পর্যবেক্ষণ করছেন। আমার গোপন ও প্রকাশ্য সবই তাঁর জানা। তিনি ছাড়া আমাকে সাহায্যের জন্য আর দ্বিতীয় কেউ নেই। অন্তর্গত এই চিন্তা ও অনুভূতি সব সময় রাসূলকে চাঙা রাখত। ফলে কঠিন বিপদের মুহূর্তেও তিনি থাকতেন নির্ভার ও অবিচল। আনাস (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ কোনো দুঃখ-কষ্ট কিংবা চিন্তা- অস্থিরতায় পতিত হলে বলতেন—

يَا حَيُّ يَا قَيُّومُ بِرَحْمَتِكَ اَسْتَغِيْثُ أَصْلِحْ لِي شَأْنِي كُلَّهُ وَلَا تَكِلْنِي

إِلى نَفْسِى طَرَفَةً عَيْنٍ –

‘হে চিরঞ্জীব-অবিনশ্বর! আমি তোমার কাছে রহমতপূর্ণ সাহায্য প্রার্থনা করছি। তুমি আমার যাবতীয় বিষয় ঠিক করে দাও। আর চোখের পলকের জন্যও আমাকে আমার হাতের সোপর্দ করে দিয়ো না।’ (মুসতাদরাকে হাকিম : ৫৪৫ )

রাসূলুল্লাহ চিন্তা ও পেরেশানির সময় নিচের দুআটি বেশি বেশি পড়তেন—

اَللّهُمَّ اِنّى اَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْهَةِ وَالْحَزَنِ، وَالْعَجْزِ وَالْكَسَلِ. وَالْجُبْنِ وَالْبُخْلِ، وَضَلَعِ الدِّيْنِ، وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ

‘হে আল্লাহ্! নিশ্চয়ই আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই—দুশ্চিন্তা, পেরেশানি, অক্ষমতা, অলসতা, কাপুরুষতা, কৃপণতা, ঋণভার ও মানুষের প্রভাবাধীন হওয়া থেকে।’ (বুখারি : ৬৩৬৯)

কবর জিয়ারত : কবর জিয়ারতে মনের অস্থিরতা ও অশান্তি দূর হয়, অন্তরে কৃতজ্ঞতা জন্মায় আল্লাহর নিয়ামতের প্রতি। যারা কবরে শায়িত আছে, তাদের তুলনায় নিজেকে সৌভাগ্যবান বলে মনে হয়। স্মরণ হয় নিজের অনিবার্য পরিণতি মৃত্যুর কথা। ফলে মন থেকে লোভ-লালসা, অতৃপ্তি, হিংসা-অহংকারের যাবতীয় অশান্তি দূরীভূত হয়ে যায়। এজন্য বিশ্বনবি ঘনঘন কবর জিয়ারত করতেন। মাঝেমধ্যেই তিনি রাতের বেলা একাকী এসে জান্নাতুল বাকী কবরস্থানে শায়িত লোকদের মাগফিরাতের জন্য দুআ করতেন। আয়িশা (রা.) থেকে বর্ণিত একটি ঘটনা সেদিকেই ইঙ্গিত দেয়। হাদিসে বলা হয়েছে—

‘রাসূলুল্লাহ এক রাতে আয়িশা (রা.)-এর ঘরে অবস্থান করছিলেন। গভীর রাতে উঠে তিনি বাকী কবরস্থানে গেলেন এবং দীর্ঘক্ষণ ধরে দুআ করতে থাকলেন। রাসূলুল্লাহ – কে না পেয়ে আয়িশা (রা.) খুঁজতে বের হলেন এবং অবশেষে বাকী কবরস্থানে দুআরত অবস্থায় দেখতে পেলেন তাঁকে। আয়িশা (রা.) এ বিষয়ে জানতে চাইলে মহানবি জানালেন- “জিবরাইল (আ.) আমাকে বললেন, আপনার রব হুকুম করছেন, যেন আপনি বাকীবাসীদের কাছে যান এবং তাদের জন্য মাগফিরাতের দুআ করেন।”” (মুসলিম : ৯৭৩)

অন্য হাদিসে আয়িশা (রা.) বর্ণনা করেন—

‘রাসূলুল্লাহ শেষ রাতে জান্নাতুল বাকীর দিকে বেরিয়ে যেতেন এবং বলতেন—“হে (কবরের) মুমিন সম্প্রদায়! তোমাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক, তোমাদের নিকট তা এসেছে, যার ব্যাপারে তোমাদের ওয়াদা দেওয়া হয়েছিল। কাল কিয়ামত পর্যন্ত তোমরা অবশিষ্ট থাকবে এবং নিশ্চয় আমরাও তোমাদের সঙ্গে মিলিত হব, ইনশাআল্লাহ। হে আল্লাহ! তুমি বাকিউল গারদবাসীদের ক্ষমা করে দাও।”” (মুসলিম : ৫৮১)

এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ আরও বলেন-

‘তোমরা কবর জিয়ারত করো। কেননা, তা মৃত্যুকে স্মরণ করিয়ে দেয়।’ (মুসলিম : ৯৭৭)

অসুস্থদের পরিদর্শন : অসুস্থ লোকদের সাথে সাক্ষাৎ করলেও মন থেকে অহংকার ও অতৃপ্তি দূর হয়। পাশাপাশি নিজের সুস্থতার কথা উপলব্ধ হয়ে আল্লাহ তায়ালার প্রতি শুকরিয়াবোধ বাড়ে। আর নিঃসন্দেহে মানসিক অসুস্থতার অন্যতম কারণ—অহংকার, অতৃপ্তি ও অকৃতজ্ঞতা। তা ছাড়া অসুস্থকে দেখতে যাওয়ার মধ্য দিয়ে পারস্পরিক সম্পর্ক ও ভ্রাতৃত্ব সুদৃঢ় হয়। এজন্য রাসূল * নিয়মিত রোগীদের সাথে সাক্ষাৎ করতেন এবং অন্যদেরও উৎসাহ দিতেন; এমনকী অসুস্থদের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং তাদের সেবা-শুশ্রূষার বিপরীতে নানা ধরেনের ফজিলত বা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন তিনি। বলেছেন—

‘যে ব্যক্তি উত্তমরূপে অজু করে সওয়াবের উদ্দেশ্যে কোনো অসুস্থ মুসলমান ভাইকে দেখতে যায়, জাহান্নাম থেকে ৬০

বছরের দূরত্বে রাখা হবে তাকে।’ (আবু দাউদ : ৩০৯৭)

রোগীকে পূর্ণ শুশ্রূষার সুযোগ না থাকলে মুমিন যেন অন্তত মাথায় বা কপালে হাত বুলিয়ে সান্ত্বনা দেয়, সেদিকে গুরুত্ব দিয়ে রাসূল বলেন-

*শুশ্রূষার পূর্ণতা হলো রোগীর কপালে বা শরীরে হাত রেখে জিজ্ঞেস করা, “কেমন আছেন?” এবং এভাবে বলা –“ভয় নেই, আল্লাহর মেহেরবানিতে আরোগ্যলাভ করবেন, ইনশাআল্লাহ।”” (তিরমিজি : : ৩৩৪, বুখারি : ৫৬৬২)

সাদামাটা জীবনযাপন : হাদিসের নানা অধ্যায়ে ও সিরাতগ্রন্থগুলোর পাতায় পাতায় আমরা জেনেছি, রাসূল * অত্যন্ত সাদামাটা জীবনযাপনে অভ্যস্ত ছিলেন। যে জীবনে ছিল না সম্পদের প্রাচুর্যতা, বিলাসিতার ছিটেফোঁটা; ছিল না কোনো অপব্যয় কিংবা অপচয়। সম্পদের প্রতি তিনি ছিলেন শতভাগ নির্মোহ। মাঝে মাঝে মাদুরের চাটাইয়ের ওপরও ঘুমাতেন। চাটাইয়ের দাগ পড়ত তাঁর পিঠে । তিনি বালি আর কাদামাটির ওপর সিজদা দিয়েছেন অহরহ।

খাবারের অভাবে কখনো কখনো অভুক্ত থেকেছেন। খাবার নিয়ে তার উচ্চাকাঙ্ক্ষা ছিল না কখনোই। নিমন্ত্রণ পেলে ধনী-গরিব নির্বিশেষে সবার দাওয়াতই কবুল করতেন। কেউ উপহার দিলেও তা সানন্দে গ্রহণ করতেন। সামর্থ্যানুযায়ী অন্যকে উপহারও দিতেন। মুক্তহস্তে দান করতেন অভাবী-অসহায়দের। যেকোনো ব্যাপার সহজ করে বলতেন, সবার সাথে মিশতে পারতেন প্রাণবন্তভাবে। এভাবেই নিরহংকারী সাদামাটা জীবনযাপন করতেন তিনি ।

হিংসা-বিদ্বেষ ও গিবত থেকে দূরে থাকা : রাসূল বলেছেন—’হিংসা ও

গিবত মানুষের মানসিক অশান্তির কারণ।’ কেউ যখন হিংসা করে, তখন তার ভেতরে অন্যের ব্যাপারে গোয়েন্দাগিরি করার একটা প্রবণতা তৈরি হয়। ফলে তার ভেতরে জন্ম নেয় অস্থিরতা। এই অস্থিরতা মন থেকে সংক্রমিত হয় সমগ্র শরীরে। গিবতের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। তাই রাসূল হিংসা থেকে দূরে থাকতেন এবং উম্মাহকে হিংসা থেকে বিরত থাকতে বলতেন কঠোরভাবে। অন্যকে নিয়ে পড়ে না থেকে সকলের শুভাকাঙ্ক্ষী হতে রাসূল সব সময় উৎসাহ দিতেন। বলতেন—’দ্বীন হচ্ছে নাসিহা বা অন্যের কল্যাণ কামনা করা।’

হিংসা একটি সুন্দর সম্পর্কের মধ্যে ভাঙন সৃষ্টি করে। পরিবারের মধ্যে ডেকে আনে অহেতুক বিশৃঙ্খলা। আমরা অনেকেই আমাদের জীবনের একটা উল্লেখযোগ্য সময় কাটিয়ে দিই অন্যকে হিংসা করতে করতে। এটা নিছক বোকামি বই কিছুই নয়। সুতরাং অন্যের সফলতাকে গ্রহণ করার মানসিকতা অর্জন করুন, নিজের সুখ অনুসন্ধান করুন অন্যের কল্যাণ কামনায় । অন্যের জন্য দুআ করলে সেটা আপনার জন্যও কাজে লাগবে। কারণ, কারও অনুপস্থিতিতে তার জন্য দুআ করলে, আল্লাহর ফেরেশতারা বলতে থাকে— ‘তোমার জন্যও অনুরূপ।’

সাহাবিদের

অন্যের ব্যাপারে মন্দ ধারণা পোষণ করা থেকে রাসূল সাবধান করতেন। অন্যকে কাঠগড়ায় দাঁড় করা কিংবা কারও পিছু লেগে থাকা থেকে রাসূল নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখতেন সব সময়। ফলে রাসূল -এর জীবন ছিল হিংসা-বিদ্বেষমুক্ত ও নির্ভার। এগুলোই ছিল তাঁর ভালো ও সুস্থ থাকার লাইফ হ্যাকস ।

উপরিউক্ত জীবনকৌশলসমূহ সার্বিকভাবে সমন্বয় করলে এটা স্পষ্ট হয়, সুস্থতার জন্য রাসূল -এর কর্মপন্থা ছিল পরিকল্পিত ও নিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন। এগুলো অনুসরণ করলে একজন মুসলিম তো বটেই; এমনকী অমুসলিমরাও একটি স্বাস্থ্যকর জীবন উপভোগ করতে পারেন। রাসূল – এর নীতি ও কর্মপন্থা শুধু মুসলিমদের জন্যই উপকারী নয়; বরং সমগ্র মানবজাতির জন্যই অনন্য সমাধান। কারণ, তিনি তো শুধু মুসলিমদের পথ দেখাতে বা আলোকিত করতে আসেননি; এসেছেন গোটা বিশ্ববাসীকে আলোকিত করতে । আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করছেন—

وَمَا اَرْسَلْنَاكَ إِلَّا رَحْمَةً لِلْعَالَمِينَ –

‘আর আমি তো তোমাকে বিশ্ববাসীর জন্য শুধু রহমত হিসেবেই প্রেরণ করেছি।’ (সূরা আম্বিয়া : ১০৭)

Home Shop Cart Account